• English
  • শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এঁর ৭৭ তম জন্মদিন পালিত

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি, দেশের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এঁর জন্মদিন পালন করেছে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান তিনি।

    দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব শুভ্র চন্দন মহলী, রেজিস্ট্রার (অ.দা.) শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাগত বক্তব্য শেষে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি জনাব মোঃ জাকির হোসেন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক, “শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা স্থাপন প্রকল্প”, জনাব শাহেদ পারভেজ, জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা ও জনাব মোঃ ফয়েজ আহমেদ, পুলিশ সুপার, নেত্রকোণা নিজ নিজ বক্তব্য রাখেন।

    শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গোলাম কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জনাব হাবিবা রহমান খান শেফালী এম.পি., সংরক্ষিত মহিলা আসন-১৭ এবং অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য, ট্রেজারার, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।

    আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, পূর্বতন উপাচার্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন, তার আত্মত্যাগ, বাঙালি জাতির মুক্তি তথা রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য তার ত্যাগ ও নেতৃত্বের বর্ণনা শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে আলোচনা করে সেখান থেকে আমরা শিক্ষা লাভ করি। ঠিক অনুরূপভাবে দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মোৎসর্গ, নিরলস প্রচেষ্টায় দেশের চলমান উন্নয়ন ও তার দূরদর্শী নেতৃত্বে পরিকল্পনা মতো বাংলাদেশ তার গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের জন্য বিশ্বনেতারও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রশংসা করছেন।” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এম.পি., মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি “৭৭তম জন্মদিনে জাতির পিতার কন্যা, বিশ্বের অনন্য-অণুকরণীয় রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বাঙালি জাতি যে চরম স্থবিরতায় নিমজ্জিত হয়েছিল, তা থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।” অনুষ্ঠানের সভাপতি ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার সাহস, দেশপ্রেম ও জনগণের ওপর অবিচল আস্থার কথা আলোচনা করেন তার তথ্যবহুল বক্তৃতায়। তিনি বলেন, “সম্মোহন, সাহস ও উদ্ভাবনী নেতৃত্বের এক অনন্য সম্মিলন ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মধ্যে।” সভাপতি মহোদয় আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা কেবল বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তারিধকার নন, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও আদর্শের উত্তরাধিকার। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার মধ্যে সাদৃশ্যের সবচেয়ে বড়ো জায়গা হলো তারা দুজনেই জনগণকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। তাদের রাজনীতির সকল শক্তির উৎস জনগণ। ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

    অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত সকলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদ ও একাত্তরের বীর শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে মোনাজাত করা হয়। দোয়া মাহফিল শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব হাফসা আক্তার।

    কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে-

    (এনামুল হক)
    জনসংযোগ কর্মকর্তা
    শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা
    ফোন: 01975-805368

    Copyright © 2021 Sheikh Hasina University, Netrokona. All rights reserved. Developed and Maintained by: SHU ICT Cell