শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ ১৪৩০ উদযাপিত
- Apr 14, 2023
- [post-views]
পহেলা বৈশাখ বাংলা বর্ষের প্রথম দিন। এ দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। এটি বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ ১৪৩০ উদযাপন করা হয়। ১৪ এপ্রিল শুক্রবার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ পহেলা বৈশাখের মূল সঙ্গীত ‘এসো হে বৈশাখ’ পরিবেশন করেন। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ও মঙ্গল কামনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মানবতার স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষিত মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষবরণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের প্রভাষক জনাব মো: আব্দুল হালিম-এর তত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে নিয়ে পুরোপুরি বাঙ্গালিয়ানা, ভাবগাম্ভীর্য এবং আপামর বাংলার বৈশাখি ঐতিহ্যকে অনুসরণ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের সাথে অংশ নেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালেয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য, জনাব আনিস মাহমুদ (অতিরিক্ত সচিব), প্রকল্প পরিচালক “শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা স্থাপন প্রকল্প”, জনাব শুভ্র চন্দন মহলী, রেজিস্ট্রার (অ.দা.)সহ সকল বিভাগীয় দপ্তরের দপ্তর প্রধানগণ। ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর উপস্থিত সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান এবং সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ষবরণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি সংক্ষেপে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বাঙালির জাতিসত্তায় এ বাংলা নববর্ষের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ হলো একটি সর্বজনীন উৎসব এবং তিনি বাংলা নববর্ষ নিয়ে তাঁর স্মৃতিচারণা করেন। পাশাপাশি তিনি বাঙ্গালির ঐতিহ্য ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ‘Intangible Cultural Heritage’-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইউনেস্কো-কে সাধুবাদ জানান। পরিশেষে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদ ও একাত্তরের বীর শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে-
(এনামুল হক)
জনসংযোগ কর্মকর্তা
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা
ফোন: 01975-805368