শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
Mar 26, 2022
16
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ২৫ মার্চ বাঙালি জাতীয় জীবনের এক বেদনাবিধুর অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিশস্ত্র বাঙালির উপর বর্বরোচিত হামলা করে গণহত্যার ঘৃণ্যতম নজির সৃষ্টি করে। এই দিনকে স্মরণ করে ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬.৩০টায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য শিক্ষকমন্ডলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দকে সাথে নিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনার্থে মোমবাতি প্রজ্বলন করেন। রাত ৯.০০টা থেকে ৯.০১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সকল আলোকবাতি বন্ধ করে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করা হয়।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকৃত সকল শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণায় উদযাপিত হলো ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ দিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান মহোদয়ের পক্ষে অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য, ট্রেজারার, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে ভোর ৬.৩০টায় কালেক্টরেট প্রাঙ্গন, জেলা প্রশাসন কার্যালয়, নেত্রকোণায় স্থাপিত শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৯.০০টায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে অর্থনীতি বিভাগের শ্রেণিকক্ষে শুরু হয় আলোচনা সভা। সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার আদিত্য, ট্রেজারার এবং সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান, মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যেকের উচিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সুমহান আদর্শকে বুকে লালন করা ও সেই চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্বদেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা বলে সভায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করেন ট্রেজারার, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা।
ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বক্তব্য শুরু করেন। আলোচনায় তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, বীর বাঙালির কৃতিত্ব বিশেষ করে নারীদের আত্মোত্যাগের বীরত্বগাঁথার উপর গুরুত্বারোপ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে পদার্পণ করেছে সেই ধারাবাহিকতাকে সমুজ্জ্বল করতে স্বাধীনতার এ দিনে তিনি নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
পরিশেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে দুপুর ১২.০০টায় সভাপতি মহোদয় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।