শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অংশীজনের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত
- Dec 12, 2023
- 24
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণায় ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ সোমবার বিকাল ০৩.০০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের অংশগ্রহণে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অংশীজনদের সমন্বয়ে একটি সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণার মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর স্যার। আহ্বায়ক ছিলেন ড. হারুন-অর-রশিদ, রেজিস্ট্রার, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা। উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে সভা আরম্ভ করেন অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট ও সঞ্চালক জনাব আলমগীর হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার, একাডেমিক শাখা, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা। সভার শুরুতেই ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। আলোচনার প্রারম্ভে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের করণীয় প্রসঙ্গে বক্তব্য উপস্থাপন করেন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা’র ফোকাল পয়েন্ট জনাব সাদ মুস্তাকিম খান।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কম্পোনেন্টের গুরুত্ব উল্লেখপূর্বক বক্তব্য উপস্থাপন করেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফোকাল পয়েন্ট জনাব মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কম্পোনেন্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রটিও প্রসারিত হয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর দায়বদ্ধতা বেড়ে যায়।
অংশীজনদের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজনকে সাধুবাদ জানান শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব শোভন রায়।




শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের সমন্বয়ে আয়োজিত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অবহিতকরণ সভার প্রধান অতিথি ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর মহোদয় তাঁর বক্তব্যে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অংশীজনদের করণীয় সম্পর্কে সবিস্তারে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “অভিযোগ একটা সুপরিচিত শব্দ। কোন মানুষই অভিযোগের উর্ধে নন। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মাত্র পাঁচ বছর হলো। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সকলের সব কিছু বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে এটাই স্বাভাবিক।” যোগদানের পর থেকে সরাসরি অনেক অভিযোগ পেয়েছেন এবং সাধ্যমত প্রতিকার করে যাচ্ছেন বলেও তিনি সভাকে অবহিত করেন। উপাচার্য মহোদয় আরো বলেন, “শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বিলম্ব নিয়েও অভিযোগ রয়েছে অনেকের মধ্যে।” তিনি কোভিড-১৯ এবং নির্মাণ সংশ্লিষ্ট মালামালের অস্থিতিশীল বাজার দরকে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বিলম্বের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য ২জন উপ-উপাচার্য থাকে। একজন দেখাশোনা করেন একাডেমিক বিষয় আরেকজন দেখাশোনা করেন প্রশাসনিক বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারের অভিভাবক থাকেন ট্রেজারার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারার নিয়োগপ্রাপ্ত হন রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। বর্তমানে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারার পদগুলো শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বাভাবিক গতি কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে বলে উপাচার্য মহোদয় বক্তব্যে উল্লেখ করেন। জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হবে বলে তিনি সভাকে অবহিত করেন। তিনি বলেন,“নীতি-নৈতিকতা ঠিক রেখে সংশ্লিষ্ট সকলেই যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে উন্নতি সাধনের জন্য আর কিছু দরকার হয় না। অভিযোগ উত্থাপিত হলে সহজে প্রতিকার সম্ভব।”
অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক অবহিতকরণ সভার সম্মানিত আহ্বায়ক, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা (অনিক) ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হারুন-অর-রশিদ স্যার দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘‘পরিবারেও অভিযোগ থাকে। তবে সরকার কর্তৃক প্রণীত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করলে যথাযথ প্রতিকার পাওয়া যায়। “শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির সঠিক পথে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভায় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের নিত্য নতুন বিষয়ে ইনোভেটিভ আইডিয়া তৈরির জন্য তিনি আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে-
(এনামুল হক)
জনসংযোগ কর্মকর্তা
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা
ফোন: 01975-805368