মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন
- Mar 26, 2024
- 0
৫৩ বছরে পদার্পণ করেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে ২৬ মার্চ থেকে বাংলা মায়ের অকুতোভয় বীর সন্তানেরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সশস্ত্র-সংগ্রামে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা পাকিস্তানি হায়েনার কবল থেকে ছিনিয়ে এনেছিলেন স্বাধীনতা। নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুভারম্ভ হয় মহান স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানের ।



শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রতীকী স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হয়। শুরুতেই শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর স্যার। উপাচার্য মহোদয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন শেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদদের স্মৃতির স্মরণে একমিনিট নীরবতা পালন করেন। উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ নীরবতা পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ স্যারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি ও সিএসই বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যানগণের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। হল সুপারের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন পর্বে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী এসোসিয়েশন’র সম্মানিত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন পর্বের শেষে বঙ্গবন্ধু কর্নারে উপাচার্য মহোদয়ের সভাপতিত্বে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল মীম এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারজানা ফাইজা একা। শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করবার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধানত চিত্তে স্মরণ করে মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব আঙ্গুর হোসেন, ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব হাফসা আক্তার, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব শোভন রায় ও সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মালা রানী বর্মন। সম্মানিত চেয়ারম্যানবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে দেশের প্রতি দায়িত্বশীল ও যত্নবান হবার জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলা বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক ড. সাদ্দাম হুসাইন। তিনি তাঁর বক্তব্যে সকলের প্রতি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে উদাত্ত আহ্বান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি তুলে ধরে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. হাবিবুর রহমান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ বাঙালি জীবনের পরোয়া না করে স্বাধীনতা সংগ্রামে সশস্ত্র যুদ্ধ করেন। তাঁদের বীরগাঁথার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা রেখে আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন। সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অন্তরে ধারণ করে দেশের জন্য কাজ করতে হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তাঁর সাথে সাথে আমাদের সকলকে একযোগে দেশের প্রতি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে বলেও তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। আলোচনা শেষে ১৭ই মার্চে অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের ইনোভেশন শোকেজিং প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে-
(এনামুল হক)
জনসংযোগ কর্মকর্তা
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা
ফোন: 01975-805368