• English
  • শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণায় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন

    “মুক্তির মন্দির সোপান তলে

    কত প্রাণ হলো বলিদান

    লিখা আছে অশ্রু জলে”

     

    শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণার অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পালিত হলো ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’। আয়োজনের শুরুতেই জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে নিয়ে। অস্থায়ী ক্যাম্পাস প্রাঙ্গনে নির্মিত শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর স্যার এবং ধারাবাহিকভাবে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন রেজিস্ট্রার, পরিকল্পনা ও উন্নয়নের পরিচালক, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি ও সিএসই বিভাগ, ছাত্র-ছাত্রী হল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শাখা ও দপ্তর এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী এসোসিয়েশন।

    অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ শেষে শুরু হয় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল। শুরুতেই জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ। পবিত্র কোরান, গীতা ও বাইবেল থেকে পাঠ করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জিল্লুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী নীলয় সরকার ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী পুতুল আজিম।

    অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। বিশেষ বক্তা হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক জনাব মিহির চক্রবর্তী। মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম কবীর।

    আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ জনাব মো. আঙ্গুর হোসেন, জনাব হাফসা আক্তার ও জনাব শোভন রায় ও সিএসই বিভাগের শিক্ষক জনাব আব্দুল্লাহ আল সিয়াম।  

    শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ হোসেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জনাব এনামুল হক, জনসংযোগ কর্মকর্তা, পি এস টু ভিসি (অতিরিক্ত দায়িত্ব)।

    ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচকবৃন্দ স্ব-স্ব বক্তব্যের শুরুতে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ২৫ শে মার্চ থেকে ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শহিদ সকল বুদ্ধিজীবীকে। শ্রদ্ধানত চিত্তে স্মরণ করেন তিরিশ লক্ষ শহিদ মুক্তিকামী বাঙালিকে, সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা বোনকে ও শহিদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের। শ্রদ্ধানত চিত্তে স্মরণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে। বাংলা ও বাঙালি জাতিসত্তায় মিশে আছে যাঁদের রক্তক্ষয়ী আত্মদান। তাঁদের আত্মত্যাগ ইতিহাসের পাতায় পাতায় লিখে যাচ্ছে বাঙালি জাতির মুক্তির বারতা। বিজ্ঞ বক্তাদের আলোচনায় আরও উঠে আসে সোনার বাংলা বিনির্মাণে ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের অনস্বীকার্য অবদানের কথা। আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নির্ভুল তালিকা প্রণয়নের দাবি জানান সরকারের কাছে।

     

    আলোচনা শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা আরমানুল হক। “চক্রান্তের সে অধ্যায়” তথ্যচিত্র প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে “শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস”-২০২৩ পালন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

    কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে-

    (এনামুল হক)
    জনসংযোগ কর্মকর্তা
    শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা
    ফোন: 01975-805368

    Copyright © 2021 Sheikh Hasina University, Netrokona. All rights reserved. Developed and Maintained by: SHU ICT Cell